• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড রায়ে খুশি বখতিয়ারের পরিবার 

প্রকাশ:  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ২০:২৩
কক্সবাজার প্রতিনিধি

২০২০ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তৎকালীন ইউপি সদস্য মৌলভি বখতিয়ার আহমেদকে নিজ বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যান টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও উখিয়া থানার ওসি মরজিনা আক্তার।

পরদিন ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে খবর আসে হ্নীলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বখতিয়ার মেম্বার। পুলিশ জানায় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বখতিয়ার মেম্বারের তিন পুত্রকে জড়ানো হয় মামলায়।

এঘটনার মাত্র সাতদিন পর ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, এস আই লিয়াকত'কে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।

রায়ে ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড খবর পেয়ে উচ্ছ্বাসিত নিহত বখতিয়ার মেম্বারের পরিবার।

বখতিয়ারের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার বাবাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছিলো ওসি প্রদীপ। আল্লাহ তার বিচার করলো, তার মৃত্যুদণ্ড রায়ে আমরা খুশি। আশা করছি দ্রুত রায় কার্যকর হবে।

তিনবার ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালন করা নিজ এলাকায় জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির এমন আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

ওই সময়ের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে নিহত বখতিয়ারের স্ত্রী শাহীনা বেগম জানান, 'বখতিয়ার ভাই, একটু বের হবেন! একজন মানুষকে শনাক্ত করতে হবে। আপনি চেনেন কি না! ওসি প্রদীপের এমন আহ্বানের পর একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাড়ির দরজা খুলে দেন তার স্বামী বখতিয়ার মেম্বার। বাড়ির দরজা খুলতেই ওসি প্রদীপ ও পুলিশ দল ছোঁ মেরে বখতিয়ার মেম্বারকে নিজেদের কবজায় নিয়ে নেন। দ্রুত গাড়িতে তুলে পুলিশ চলে যান তাদের গন্তব্যে।

পরদিন আবারো বখতিয়ার মেম্বারের বাড়িতে আসে পুলিশ। এ সময় বাড়ি থেকে লুট করা হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অর্ধ কোটি টাকার মালামাল।

তিনি আরো জানান, তার স্বামী বখতিয়ার মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা ছিল না। তিনি ইয়াবা কারবারেও জড়িত ছিলেন না। তিনি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের ব্যবসার দেখাশোনা করতেন।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সামাজিক শত্রুদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দুই রাত ও এক দিন নির্যাতন চালিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন শাহীনা। ওই সময় দায়ের করা চারটি মামলায় তার তিন পুত্র জামিন পেলেও মিথ্যা দাবি করে মামলা গুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।


পূর্বপশ্চিম/এএ

ওসি প্রদীপ,রায়,বখতিয়ার পরিবার,মৃত্যুদণ্ড

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close